Facebooke Voy - A bengali story

Jolchobi

ফেসবুকে ভয়

রাহুল কোলে

রাত একটা বাজতে এখনো দশ মিনিট বাকি, নিস্তব্দ চারিদিক। কালো ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতের, শশ্মানপুরীর নিস্তব্দতা কে ভেদ করে একটা পেঁচা তীক্ষ্ণ চিৎকার করতে করতে জানলার পাশ দিয়ে উড়ে গেল। শুনসান পিচ রাস্তা টা বেশ কিছুটা দুরে গিয়ে শহরের ভেতর মিশেছে। দোতালার জানালা দিয়ে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলো টা দেখা যায় দু'তিনটে মেঠো কুকুর সেই আলোর নীচে দাঁড়িয়ে আছে। কোনো শব্দ নেই মুখে। তিন্নির চোখে ঘুম আসছে না। জিৎ এর সাথে অনেক আগেই চ্যাট বন্ধ করে দিয়েছে। দোতালার ঘরে নিজের খাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে ,পা দুটো হাটু পর্যন্ত ভাঁজ করে দোলাতে লাগলো। পাশ থেকে মাথার বালিশ টা বুকের নীচে দিয়ে, সামনে রাখা ল্যাপটপের টাচপ্যাডের উপর অনিদিষ্ট ভাবে আঙুল ঘোরাতে লাগল। সমস্যা সামনে এলে, অনেক সময় মাথা কাজ করে না। তিন্নির ও করছে না। গত পাঁচ মিনিট ধরে শুধু ভেবেই চলেছে ছেলেটির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করবে কিনা? আরও একবার ভিউ প্রোফাইলে ক্লিক করল সে। ছেলেটির নাম,রাজনীল। বয়েস তার মতোই। নীচের দিকে নামতে নামতে, একটা লেখা দেখে তিন্নি থেমে গেল,–ভালবাসার মৃত্যু হয় না, শুধু ভালবাসার মানুষের মৃত্যু হয়। তিন্নির মন টা কেমন হয়ে যেন গেল। মেসেজ অপসানে গিয়ে ছেলেটিকে একটা মেসেজ করল,—"তুমি আমাকে চেনো?" ওপার থেকে সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই এল,—" না।" আবার ম্যাসেজ টাইপ করল তিন্নি— "তবে আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে কেন?" ছেলেটি লিখল,— "আমি নীল কে চিনি। আমার রিকোয়েস্ট টা অ্যাকসেপ্ট কর।\বুকটা কেঁপে উঠল তিন্নির। গলার কাছে যেন শুকিয়ে এল। একটা ঢোক গিললো সে। হাত, পা দুটো একটু একটু করে কাঁপতে থাকলো।কাঁপা কাঁপা হাতে কোনো রকমে টাইপ করল - "তুমি, নীলের কে হও?"— "ছোটবেলার বন্ধু। নীলের বাড়ির পাশেই আমার বাড়ি।"
-"ওকে!অ্যাকসেপ্ট করছি।"পনেরো মিনিট কথা হওয়ার পর গুড নাইট জানিয়ে ল্যাপটপ টা বন্ধ করে দেয় তিন্নি। খাটের উপর এপাশ, ওপাশ করতে থাকে। এই ছেলেটি কি সব জানে? নীল কী মরার আগে ও কে ফোন করে সব বলে দিয়েছে? কিন্তু ফোন করবে কি করে?........ ছেলেটি এবার আমাকে ব্লাকমেল করবে না তো? কাউকে যদি বলে দেয়!
মাথা ঘুরে আসে তিন্নির। উঠে বসে পাশের টেবিল থেকে জলের বোতোল টা নিয়ে এক ঢোক জল খায়।- তার তো কোনো দোষ নেই? আরও দুজন স্টুডেন্ট মারা গিয়েছিল সেই ভ্রমনে। মনে মনে তিন্নি ভাবে। তবে হ্যাঁ, তারা ইচ্ছে করলে নীল কে বাঁচাতে পারত, কিন্তু করিনি। আর করবেই বা কেন? মাছের কাঁটার মতো, গলায় আটকে থাকা জিনিসের মরে যাওয়াই ভাল। তিন্নি সাত পাঁচ ভাবতে থাকে। জিৎ কে এই ছেলেটির ব্যাপারে জানাবে? ফোনটা হাতে তুলে আবার বালিশের পাশে রেখে দেয় তিন্নি। — না! একটু দেখাই যাক। ছেলেটি এ সম্পর্কে কিছু বলে কিনা? অনেক ভাবনা চিন্তার পর শেষ রাতের দিকে, কোল বালিশ টা কে জোর করে আঁকড়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে তিন্নি। নীল, তিন্নির প্রাক্তন প্রেমিক। সরল সাধাসিধে একটা ছেলে। পড়াশুনায় খুব ভাল। শহরের মতো হয়তো ওতোটাই স্মার্ট নয়, তবে একেবারে আনস্মার্ট ও বলা যায় না। লম্বাটে গড়ন,ফর্সা মুখের টানা টানা চোখ দুটো থেকে যেন, সব সময় প্রেম ঝরে পড়ছে। আর এই চোখ দেখে তিন্নি নয়, তিন্নির মা ই নীল কে পছন্দ করে ফেলেছিল– তিন্নির জন্য। তিন্নিদের বাড়ির ঠিক পেছনের বাড়িটিতে ভাড়া থাকত নীল। কলেজে দুজনই একই বিভাগের। ভূগোল অনার্স। তাই প্রেম টা আরও জমে উঠেছিল, দুজনের। আসলে নীল পাগলের মতো ভালবেসে ফেলেছিল তিন্নিকে। তিন্নিও ভালবাসতো নীল কে-তবে পাগলের মতো না। দু বছর কেটে যাওয়ার পর কলেজের তৃতীয় বর্ষে এসে, তিন্নির কাছে যেন অসহ্য লাগল এই ভালবাসা টা। এত বেশী ভালবাসা তার যেন ভাল লাগল না। নীলের কোনো কিছুতেই, না নেই। তিন্নির সব কিছুতেই,সে হ্যাঁ বলতো। ক্লাসে বোকার মতো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত তার দিকে। কোনো দিন একটুও ঝগড়া করিনি তার সাথে । সম্পর্ক টা দিনের পর দিন কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে পড়ছিল। বার বার মনে হচ্ছিল একটা যন্ত্রনার উপর দাঁড়িয়ে আছে তিন্নি। তবুও শেষ চেষ্টা করেছিল তিন্নির। ফাঁকা বাড়িতে একদিন নীলকে কে দুহাতে বুকে জড়িয়ে ধরে প্রায় আড়াই মিনিট ঠোঁটে, ঠোঁট ডুবিয়ে রেখেছিল। নিজের দুধসাদা শরীর টাও সেদিন প্রথমবারের মতো দেখিয়েছিল নীল কে। নীল ও বোকার মতো তিন্নির কোমোর টা জড়িয়ে ধরে বলেছিল,-"তিন্নি তোর নাভির একটু নীচে একটা তিল আছে।"ওটা তোকে বড্ড মায়াবী করেছে। অনেক আর্কষনীয় করেছে তোর নাভির দিকটা মনে হয় হারিয়ে যায়"আর তোর ওই ঠোঁটের তিল সত্যি তোর প্রেমে হারিয়ে যায়"উফ! বলে একটা বিরক্তি প্রকাশ করেছিল তিন্নি।"তোর এই কবি কবি ভাব বন্ধ করবি"
পরদিন গভীর রাতেই, ডিসিসান টা নিয়েই ফেলল,– এ সম্পর্ক টা আর রাখা যাবে না। কিন্তু সব থেকে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াল তিন্নির মা। অনেক আগে থেকেই যে নীলকে, তিনি জামাই হিসেবে ভেবে নিয়েছেন। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে এক টুকরো হিমেল হাওয়া যেমন শরীরে মাদকতা আনে, ঠিক তেমনি তৃতীয় বর্ষের মাঝামাঝি কলেজের ভূগোল বিভাগ এর ছাত্র জিৎ ও তিন্নির শরীরে মাদকতা এনে দিল। জিৎ বেশ স্মার্ট ছেলে, দেখতেও মন্দ নয়। একথা সত্য যে কোনো সম্পর্ক যখন অসহ্য লাগে বা, তার থেকে কেউ যখন বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে, তখন অন্য কাউকে তাড়াতাড়ি ভাল লেগে যায়। তিন্নির ক্ষেত্রে ও ঠিক তাই হল। জিৎ, তিন্নির সাথে একই ক্লাসে পড়ে। মাঝে মাঝে জিৎ তিন্নির দিকে যে তাকাতো সেটা, এখন খুব ভালকরে বুঝতে পারে তিন্নি। সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের মধ্যে ম্যাজিকের মতো তিন্নির জীবন কে রঙিন করে তোলে জিৎ। আর সেই রঙিন আলোয় তিন্নিও পাগলের মতো ভালবেসে ফেলে জিৎ কে। একদিন তিন্নি আর জিৎ বৃষ্টির দিনে আটকে যায় হঠাৎ এক বাজের শব্দে চমকে যায়।জড়িয়ে ধরে জিৎ কে। সমস্ত শরীর মন দিয়ে বসে জিৎ কে। পুরো শরীর ভিজে যাওয়াতে তিন্নির শরীর দেখে নিজেকে সেদিন ঠিক রাখতে পারেনি জিৎ। দুজনে সেদিন চরম আনন্দ অনুভব করেছিল। দুজন সেদিন দারুন সুখ পায়। তিন্নি ভুলে যায় নীল কে। আর বিসর্জন দেয় তার কুমারীত্ব। ধীরে ধীরে নীলের সাথে সম্পর্ক ভেঙে যায়। নীলের সাথে যে তিন্নির কথা হয় না-সেটা ঠিক নয়। তবে সেই কথা এখন রঙহীন। সামনেই জিওগ্রাফিডিপার্টমেন্টের দেরাদুন-মুসৌরী ট্যুর। ক্লাসের সবাই যাচ্ছে। কিছুদিন বেশ আনন্দে কাটবে। দু দিন বেশ ভালই কেটেছিল। তৃতীয় দিন ভয়ঙ্কর সেই অ্যাক্সিডেন্ট টা ঘটল। পাহাড়ি ধসের কবলে পড়ল পুরো কলেজের দল টা। একসাথে তিনজন ঘুরে ঘুরে দেখছিল, আকাশের মেঘের ভেলা। হঠাৎ করেই ধস টা নামে। ইচ্ছে করলে নীল কে বাঁচাতে পারত তিন্নি আর জিৎ। কিন্তু..........
শেষ পর্যন্ত তিন্নি, নীলের জামাটা আর জিৎ, নীলের হাত টা ছেড়ে দিল। নীলের সাথে সাথে আরও দুজন স্টুডেন্ট হারিয়ে গিয়েছিল মুসৌরী এর কোলে। যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল তিন্নি।এতক্ষনে তবে মাছের কাঁটা টা গলা থেকে নামল। এ ঘটনা টি তিন বছর আগের। এর মাঝে অনেক সময়কেটে গেছে। তবুও ঘটনাটা তিন্নি মন থেকে মুছে ফেলতে পারিনি। জিৎ এর সাথে তিন্নির বিয়ের দিনও প্রায় ঠিক গেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই এই ছেলেটি নীল কে নূতন করে মনে করিয়ে দিল। কিচায় এই ছেলেটি? জিৎ এর সাথে বিয়ের রাতে পুলিশ নিয়ে হাজির হবে না তো? আজকে রাতে তিন্নি ল্যাপটপ খুলে ফেসবুক টা অন করল। এ'সময় সে জিৎ এর সাথে কথা বলে। বারোটা বাজতেই ছেলেটিকে প্রতিদিনের মতো অনলাইন দেখালো। গত পনেরো দিন ধরে ছেলেটির সাথে চ্যাট করছে তিন্নি।– অভদ্র বলে মনে হয় না ছেলেটিকে। বরং ওর সাথে কথা বলতে বেশ ভালোই লাগে তিন্নির। এ কয়দিনেই কেমন যেন কাছের বন্ধু হয়ে গেছে।
তিন্নি ম্যাসেজ টাইপ করল,–"রাজনীল, কি করছ?" ওপার থেকে রিপ্লাই এল,–"আমাকে এবার থেকে তুই করে বলবি।"
–"ওকে। তুই করেই বলব। "হাসলো তিন্নি। ইচ্ছে করেই তিন্নি ছেলেটিকে, নীল সম্পর্কে কোনো কথাই জিজ্ঞাসা করে না। রাত একটা বাজে। জিৎ কে অনেক আগেই তিন্নি গুড নাইট বলে দিয়েছে। কিন্তু ছেলেটির সাথে চ্যাটিং করে যাচ্ছে এখনও।- কি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ছেলেটি। মনে মনে ভাবল তিন্নি। একটু দুষ্টমি করতে ইচ্ছে হল তিন্নির। ম্যাসেজে টাইপ করল,–"এই রাতে এখনও ফেসবুকে তুই? গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি?"
রাজনীলের রিপ্লাই এল,–"না রে।ও সব এক সময় ছিল।"
তিন্নি হাসল।–"এই বল না, তারপর কোথায় গেল?"
কিন্তু ওপার থেকে যে রিপ্লাই টা এল সেটার জন্য তিন্নি মোটেই প্রস্তুত ছিল না। – "তোর ঠোঁটের ডান পাশের নীচে একটা তিল আছে না?"
চমকে উঠল তিন্নি।–"তুই কি করে জানলি?"
রাজনীল একটা হাসি মুখের স্টিকার পাঠালো। লিখল,–"নীল আমাকে সব বলতো।"
তিন্নির নিশ্বাস– প্রশ্বাশের হার বেড়ে গেল। দ্রুতো টাইপ করল,–"আর কিছু বলেছে নাকি?"
–"হ্যাঁ, বলেছে। তোর নাভির ঠিক চার আঙুল নীচে একটা কালো তিল আছে।"
তিন্নি লজ্জা পায়। মনে মনে ভাবে,–"ইস! কী বাজে ছেলে নীল। বন্ধুদের সাথে সব কথা বলতে হয়।"
তিন্নি শরীর,মাত্র দুটো ছেলেই দেখেছে। নীল আর জিৎ। খুব রাগ হয় নীলের উপর।
গালাগালি করতে ইচ্ছে করে তিন্নির,– ও মরেছে ঠিক হয়েছে।
কিছুক্ষন চুপ থেকে টাইপ করল তিন্নি– "বাজে ছেলে একটা।"
ঘড়িতে আড়াইটে বাজে। তিন্নির সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। ঘরের নাইট ল্যাম্প টা থেকে হাল্কা আলো ছড়িয়ে পড়ছে বিছানার উপর। বাইরের নি:ঝুম অন্ধকারের ভেতর শুধু ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক আর ঘড়ির টিক্ টিক্ টিক্ শব্দ কানে আসে। আশেপাশের দোতালা বাড়ি গুলো সব গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পাশের বকুল গাছ থেকে একটা রাতজাগা পাখির ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ এল। ঠিক এই সময় রাজনীলের মেসেজ এল আবার,–" ও পাগলার কথা ছাড়।"
তিন্নি উৎসাহের সাথে লিখল ,–"হ্যাঁ তাই ভালো। তোর প্রেমে ল্যাং খাওয়ার কথা বল?" রাজনীল লিখল,– "একটা মেয়েকে খুব ভালবাসতাম। সেও বাসতো কিন্তু বেশ কিছু দিন পর মনে হল মেয়েটি আর ভালবাসতে চাইছে না আমাকে।"
তিন্নি লিখে পাঠালো, – "ভেরি স্যাড! তারপর?"
রাজনীলের রিপ্লাই টা একটু দেরীতে এল,–" বুঝতে পারলাম মেয়েটি অন্য একটি ছেলেকে ভালবাসে। তবুও মেয়েটির মা আমাকে খুব পছন্দ করত।"
একটা ঢোক গিললো তিন্নি, –"তারপর!"
–"এরপর, একদিন কলেজ থেকে বেড়াতে গেলাম সবাই। মেয়েটি এবং সেই ছেলেটিও সাথে ছিল"
তিন্নির নিশ্বাস – প্রশ্বাস গতি নিল। তাড়াতাড়ি টাইপ করল,–"কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলিস?"
ওপার থেকে রিপ্লাই এল,– "মুসৌরী।"
তিন্নির বুকটা দপ দপ করে কাঁপছে। তবুও লিখল,– "তারপর?"
–"পাহাড়ি ধসের মুখে পড়ল পুরো দল টা। তিনজন স্টুডেন্ট মারা গেল। তার মধ্যে আমিও ছিলাম।"
তিন্নির শিরদাঁড়া বেয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত নেমে গেল। হাত, পা গুলো থর থর কাঁপছে। হঠাৎ ঘরের নাইট ল্যাম্প টা দপ দপ করতে শুরু করল। আর সেই সাথে রাস্তার কুকুর গুলো যেন ভয়ার্ত স্বরে চেঁচিয়ে উঠল। ল্যাপটপের স্ক্রিন টা কাঁপছে। তিন্নির গলা শুকিয়ে এল।আর সেই শুকিয়ে যাওয়া গলা থেকে একটাই আওয়াজ বেরিয়ে এল,– "নীল তুই!"
ল্যাপটপের স্ক্রিন ঝাপসা হয়ে উঠেছে। তবুও তিন্নি পরিষ্কার দেখতে পেল, এতদিনের ফেসবুক আইডির রাজনীল নামটা এখুনি কোন অলৌলিক বলে নীল হয়ে গেছে।

সমাপ্ত

© FB.com/rahul.koley.1



Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn Pinterest StumbleUpon Email



~~ জলছবি ~~