Punoscho - A bengali story

Jolchobi

পুনশ্চ

শ্যামল মজুমদার

তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছে , চারদিক হালকা আলো আঁধারি , আমি বললুম আর , "এক মিনিট প্লিজ ",
পল্লবী বললো , "কেউ দেখে ফেললে কেলো হবে । "
আমি বললুম , "ফিকর নট , কিছু হবেনা । "
সে বললো , "তুমি কিছু জানোনা , নিতাই মামা সেদিন আমাকে কথা বলতে দেখেছিল পরে মা কে বলতে , মায়ের কাছে অনেক বকা খেলাম । "
-"জামাই এর সাথে মেয়েকে কথা বলতে দিবেনা এ কেমন মা ?পিয়ার কে দুশমন হ্যায় সব লোগ "।আমি ইয়ার্কি করে বললুম । আমরা মোড়ের উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম । পল্লবীর বাড়ি একটু দূরে , আমি বললুম ,"চলো বিয়ে করে নেই দুজন । "
পল্লবী আমাকে চমকে দিয়ে বললো , "দাঁড়াও মা কে জিজ্ঞেস করে আসি , "সে দৌড় লাগালো ।বুঝতে পারলাম কলেজে পড়লেও ছেলে মানুষী এখনও যায়নি । আমি চিৎকার করে বললুম "আরে মামন দাঁড়াও, এক মিনিট প্লিজ , '' তার ডাক নাম মামন , পল্লবী দাঁড়ালো , কাছে গিয়ে বললাম , "এখনও তোমার বুদ্ধি সুদ্ধি হয়নি , মা কে বললে , তোমার আস্ত রাখবেন না । "
সে বললো ,"ঠিক কথা তো "
আমি বললাম ,"তাহলে ?"
সে চুপ করে রইলো , অন্ধকারে প্রায় মুখ চেনা যাচ্ছেনা , এই গলি টা একটু জনবিরল ,কাছে টেনে বললাম ,"খুব তাড়াতাড়ি আমরা বিয়ে করে নেব , আমার উপর ভরসা রাখো "।সে কেঁপে উঠলো আমার বুকে মাথা রেখে ।

পল্লবী আমার ছাত্রী , নাইন টেন দু বছর তার বাড়ি তে প্রাইভেট টিউটর হিসেবে পড়িয়েছি , সে থেকে প্রেম , আমি তখন কলেজে পড়তাম , তারপর আস্তে আস্তে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাস করে কলেজে উঠলো । কিন্তু ভালোবাসা বাঁধন হারা , থামতেই চায়না । হালকা ফর্সা লম্বা মেয়েটি কখন স্কুলে আসবে তারজন্য স্কুল গেটের পাশের দোকান টায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম , জাস্ট মুখের ওই হাসিটার জন্য, মুখোমুখি হলেই বেনী দুলিয়ে তার কটাক্ষ মুচকি হাসি তে সব রাগ অভিমান ভুলে যেতাম । গ্রামাঞ্চলে এই সব প্রেম ভালোবাসা বেশিদিন চাপা থাকেনা , যথা সময়ে তার বাবা মায়ের কানে পৌঁছালো , তাঁরা ছিলেন উচ্চবর্ণ , তাই কোনোভাবেই মানতে চাইলেন না -তাছাড়া তখন আমি এমন কোন বড় চাকরি করি না যে উনারা মেনে নেবেন ।আর একটা ব্যাপার ওদের পাড়া রক্ষনশীল পাড়া-নিজেদের রাজপুত জাত নিয়ে তাদের অনেক গর্ব , অন্য কাস্টে কেউ বেরিয়ে বিয়ে করলে তাদের গ্রামে একঘর করে রাখা হয় অর্থাৎ সেই ফ্যামিলির সাথে কোন যোগাযোগ রাখা হয়না । পল্লবীর যখন সেকেন্ড ইয়ার সে সময় আমি অনেক কষ্টে এসএসসি এর গ্রূপ ডি পোস্টে একটা জব পেলাম আর ততদিনে ব্যাপার টা এমন ভাবে জানাজানি হয়েছে যে আমার আর পল্লবীর মুখ দেখানো মুশকিল । শেষে একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম লুকিয়ে বিয়ে করে নেব দুজন । বান্ধবীর বিয়ে তে তার বাড়ি আসার নাম করে পল্লবী আসতেই পাশের গ্রামের কালি মন্দিরে গিয়ে সিঁদুর লাগিয়ে দিলাম , তারপর বাইকে করে সোজা অনেক দূরে আমার এক বন্ধুর বাড়ি , তাকে আগে থেকে বলা ছিল , সে খানেই এক ম্যারেজ রেজিস্টারকে ধরে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ । সে রাত টা ছিল স্বপ্নের , অজানা এক আনন্দে হারিয়ে যাওয়ার ।

পল্লবীর মায়ের কানে পৌঁছল যে পল্লবী আমার বাইকে করে কোথায় গেছে , জানিনা আড়ালে আবডালে কে আমাদের দেখেছিল -আর আমিও এমন প্রেমে মশগুল ছিলাম যে খেয়ালই করিনি রাস্তা ঘাটে কেউ নজর করছে কি না আমাদের । চিরদিন পল্লবী একটু ছেলে মানুষী টাইপের -মায়ের ধমকে ভয়ে ভয়ে সব কিছু স্বীকার করলো । পল্লবীর মা কোনদিনই আমাকে ভালো চোখে দেখেননি , জানিনা কি এমন দোষ করেছিলাম ।যথা সময়ে আমার নামে এফ.আই.আর হলো । ভারতীয় দন্ডবিধির যে ধারাগুলো প্রয়োগ করা হলো , 307 নম্বর ধারা অনুযায়ী মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে সহবাস , 126বি ধারা অনুযায়ী জোরপূর্বক মেয়ের অসম্মতিতে বিবাহের জন্য প্ররোচিত করা , এবং সবশেষে বিবাহ বিচ্ছেদ । আমি কোন ভাবেই বিবাহ বিচ্ছেদে রাজি ছিলাম না , কিন্তু পল্লবীর ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাই যোগাযোগ করা ও সম্ভব হচ্ছিলো না । প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সম্ভব নয় , তাই কোর্টে ওই ধারা বিদায় গেল , বাকি থাকলো বিবাহ বিচ্ছেদ এবং সহবাস । আমাদের সি আই সাহেব অত্যন্ত ভদ্রলোক , আমাকে ডেকে বললেন , "আপনার বয়স কম , বৃদ্ধা মা কে নিয়ে অভাবের সংসারে একটা কাজ পেয়েছেন , কোর্টের রায় আপনার বিরুদ্ধে গেলে আপনার চাকরিটা না থাকতেও পারে। আর বিবাহ বিচ্ছেদের রায় নর্মালি মেয়েদের পক্ষেই যায় -যে পাখি একবার খাঁচা ছেড়ে উড়ে গেছে সে আর কোনভাবেই খাঁচায় ফিরতে চাইবে না , পাখি কে উড়তে দিন । "
উপদেশ টা মাথায় নিলাম , ভেবে দেখলাম উনি ঠিক কথা বলেছেন , আবার ভাবলাম ওদের অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো ?পল্লবী তো আমাকে ভালোবাসে -বাড়ির লোকেরা ওকে দিয়ে জোর করে আমার বিরুদ্ধে বয়ান দিতে বাধ্য করিয়েছে ।আসলে প্রেমে অন্ধ ছিলাম তাই আবেগই প্রাধান্য পেল । নিজের উপর জেদ চেপে বসলো , শেষ পর্যন্ত লড়াই আমি করবোই । আর এটা একটা প্রেস্টিজ ইস্যু -আশেপাশের প্রায় সবাই জেনে গেছিল , গ্রামের মানুষের মুখে চাপা দেওয়া কঠিন ব্যাপার ।

আদালতের রায় আমার বিপক্ষে গেল । ভরা এজলাসে পল্লবী বললো , আমি তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে রেজিস্ট্রি পেপারে সই করিয়েছি । ডিভোর্স হলো সেইসাথে জোরপূর্বক সহবাসের জন্য আমার চাকরি গেল। লজ্জা ঘৃনায় তিতিবিরক্ত হয়ে আমি গ্রাম ছেড়ে কলকাতা পালিয়ে গেলাম । ওখানে গিয়ে এক বন্ধুর বাসায় থেকে একটা কোম্পানি সেলস রিপ্রেজেনটিভ হয়ে জীবন শুরু হলো , ছোট থেকে টুকটাক লেখালিখির শখ ছিল , কয়েকটা লিটল ম্যাগাজিনে আমার লেখা প্রশংসা পেল , নিজের উপর বিশ্বাস জন্মালো , একদিন ঠাকুর কে স্মরন করে দেশ পত্রিকার অফিসে কয়েকটা কবিতা পাঠিয়ে দিলাম । কথায় বলে ভাগ্য কখন কার সাথে থাকে কেউ জানেনা । প্রায় মাস তিনেক পর মেল পেলাম দেশ পত্রিকা তে আমার কবিতা প্রকাশের জন্য নির্বাচিত হয়েছে । ব্যাস , তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি , একটার পর একটা গল্প কবিতা উপন্যাস বেরিয়েছে আর আমি ও আস্তে আসতে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছি । সবচেয়ে খ্যাতি এনে দিল "সূর্যাস্তের আগে "উপন্যাস টা । যেখানে আমি আমার আর পল্লবীর কাহিনী নিয়ে লিখেছিলাম একটা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস । ওটা নিয়ে এক নবীন পরিচালক সিনেমাও বানালেন । সিনেমা হিট সাথে আমার ভাগ্যও , প্রায় টিভি নিউজ পেপারে আমার সাক্ষাৎকার বেরোতে লাগলো । এখন আমার অনেক লেখাই ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে ,জীবন টা থিতু হতে আর ওদিকে মা মারা যাওয়ার পর গ্রামের সব পাট চুকিয়ে জমি বাড়ি সব ভূপেন দাস কে বিক্রি করে কলকাতায় একটা ফ্ল্যাট কিনে নিয়েছি , একা থাকি সাথে একজন কাজের লোক । অধিকাংশ দিনই কোন না কোন অনুষ্ঠান সভা সমিতি তে নিমন্ত্রন থাকে। বলতে গেলে মাঝারি মাপের একজন সেলিব্রিটি । পল্লবীর কথা আজকাল আর এতটা মনে পড়েনা , নিজের একটা জগৎ নিয়েই বেঁচে আছি ।

খড়গ পুর শহর থেকে একটা কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন এবং পুরস্কার বিতরনীর জন্য নিমন্ত্রন এলো , আমার সময়ের অভাব , তবুও উদ্দোক্তা দের সনির্বন্ধ অনুরোধে হাজির হলাম , প্রাথমিক আদর আপ্যায়ন এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর মঞ্চে অতিথি বরনের পালা । মাইক হাতে এক একজনের নাম ঘোষনা হচ্ছে , আর তাঁদের বরণ করা হচ্ছে , হঠাৎ দেখি আমার নাম ঘোষনার সাথে সাথে সামনে এসে দাঁড়ালো পল্লবী সিংহ , নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস হয়না , চোখ বন্ধ করলাম তারপর চোখ খুলে দেখি সেই মামন সেই চোখ মুখ গালে টোল পড়া হাসি । বরনের পর অনেকটা সময় লাগলো ব্যাপারটায় ধাতস্থ হতে । যাইহোক সভা পুরোদমে চলতে থাকলো , একজন কর্তা ব্যাক্তি টাইপের একজনকে জিজ্ঞেস করলাম ,"আমাকে যিনি বরণ করলেন চন্দন ফুল মালা দিয়ে , উনি কে ?
ভদ্রলোক হেসে বললেন , "ম্যাডাম আমাদের কলেজের বাংলার প্রফেসর । "
ওঃ , তার মানে পল্লবী এখন কলেজের অধ্যাপিকা হয়েগেছে । ভালো , সুখে থাকুক , একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসলো । তারপর আমার ভাষন দেওয়ার পালা , এবং পুরস্কার বিতরনী । পুরস্কার বিতরণীর পর কয়েকজন উদ্যোক্তা এসে অনুরোধ করলেন ," আপনার মতো একজন বড় কবি সাহিত্যিক কে সবাই আপ্লুত । সবাই খোলামেলা কিছু প্রশ্ন আলাপ চারিতা করতে চান ।"
এ নতুন কিছু নয় , বইমেলা বা অন্য কোথাও গেলে অনেক পাঠকই ব্যক্তিগত জীবন বা লেখা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন , অটোগ্রাফ চান , আমি রাজি হলাম । মাইক্রোফোন নিয়ে বসে আছি , পাঠকেরা আমার পড়া শোনা ছেলে বেলা লেখালিখি নিয়ে প্রশ্ন করছেন , উৎসাহী প্রশ্ন কর্তার তালিকায় অধ্যাপক ছাত্র ছাড়াও অনুষ্ঠান দেখতে আসা অনেকেই আছেন । সামনের সারি তে অধ্যাপক শিক্ষক রা বসে আছেন । পল্লবী কেও দেখছি চশমা পরে বসে আলাপ চারিতা শুনছে । হঠাৎ এক ছাত্র জিজ্ঞেস করলো , "স্যার , আপনার আত্মজীবনী মূলক উপন্যাসে "সূর্যাস্তের পর আপনি শেষ করেছেন নায়িকা আর নায়কের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েগেল , কিন্তু তার পর কি হলো ?নায়িকার শেষ খবর কি ?"
জটিল প্রশ্ন বেশি জটিল পল্লবীর সামনে উত্তর দেওয়া , একবার পলকে তাকিয়ে দেখলাম পল্লবীকে ,তারপর যথাসম্ভব হাসি মুখে বললাম , "হয়তো বিয়ে করে সুখেই আছে " তারপর একটু থেমে বললাম , "যদি পরবর্তী পর্ব লিখি তাহলে সেখানেই জানতে পারবেন । "

অনুষ্ঠান শেষ, ডিনারের ব্যবস্থা ছিল , ডিনার কমপ্লিট করে রেডি হচ্ছি বেরিয়ে আসার , এদিকে দু চোখ খুঁজছে পল্লবী কে । সত্যি কত বছর পর দেখা , প্রায় বছর দশেক তো হবেই , এতদিনে আর কোন রাগ অভিমান নেই , তার সাথে এই ঘটনা গুলো না ঘটলে আজ হয়তো এই জায়গা তে পৌঁছাতে পারতাম না , সাধারন একজন গ্রুপ ডি কর্মচারী হিসেবে বেঁচে থাকতে হতো । অনুষ্ঠান শেষ হতে লোকজন প্রায় ফাঁকা , কর্তা ব্যাক্তি স্বেচ্ছাসেবক ছাড়া কেউ নেই খুব একটা । আশ্চর্য , পল্লবী কি চলে গেছে , আর কিছুক্ষন থাকতে পারতো , হয়তো এ জীবনে কোনদিন দেখা হবেনা । সকালে ফিরবো , ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়েছে , রাত অনেক হয়েছে তাই উনাদের কাছে বিদায় নিয়ে আমাকে রাতে থাকার জন্য যে ঘরটি দেওয়া হয়েছিল সেইদিকে এগিয়ে চললাম । হঠাৎ অন্ধকারে কেউ বলে উঠলো ,"সূর্যাস্তের আগে উপন্যাসের নায়িকা মোটেও বিয়ে করে সুখে শান্তি তে নেই , " আমি অবাক হয়ে মুখ তুলে দেখি হালকা আলো আঁধারি তে পল্লবী দাঁড়িয়ে । আপনা আপনি বলে উঠলাম ,"মানে ?"
-"কারন সেই ঘটনার পর সে আর বিয়েই করেনি ।" আমার চোখের উপর ভেসে উঠছিল সেই উচ্ছল দিনগুলি , বিয়ে , ফুলশয্যা , সেই দেখা করা চুমু খাওয়ার মুহূর্ত গুলি ........কয়েক সেকেন্ড পাথরের মতো নিশ্চুপ থেকে জিজ্ঞেস করলুম , "তাহলে কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছিলে কেন ?"
-"তুমি খুব ভালোকরে জানো মা বাবা তাদের উচ্চবর্ন সমাজ নিয়ে কতটা জেদি ছিল , বাবা বলেছিল যদি আমি তোমার বিরুদ্ধে কোর্টে না বলি ডিভোর্স দাবি না করি , তাহলে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করবে , পাড়া প্রতিবেশীর চাপে এবং বাবার কথা ভেবে আমি সেদিন এমন বলেছিলাম , তার জন্য তোমার জীবনের অনেকগুলো বছর নষ্ট হয়ে গেছে , পারলে আমায় ক্ষমা করে দিও "
আমার চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসছিল , হঠাৎ করে টাইম মেশিনে দশ বছর পিছিয়ে গেছিলাম । হুঁশ ফিরলো পায়ের শব্দে , মুখ তুলে দেখি পল্লবী চলে যাচ্ছে ধীর পদক্ষেপে , আমি জোরে পা চালিয়ে তার কাছে গিয়ে বললাম , "কিছু নষ্ট হয়নি , তুমি এমন আঘাত দিয়েছিলে বলেই আজ আমি এই জায়গায় পৌঁছেছি । "
পল্লবী ফুঁপিয়ে উঠলো , চিবুক ধরে বললাম ,"আমিও বিয়ে করিনি , চলো নতুন ভাবে শুরু করি"।
পল্লবীর চোখের একফোঁটা জল আমার হাতের তালুতে পড়লো।

সমাপ্ত

© FB.com/shyamal.majumder.39501



Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn Pinterest StumbleUpon Email



~~ জলছবি ~~